মালদা

বর্ষার শুরুতেই ভাঙনের ছোবলের মুখে মালদার মানিকচক

বর্ষা নামতেই নদীর তীরবর্তী গ্রাম গুলো আতঙ্কে ভোগেন। বিশেষ করে সেই সমস্ত নদী কেন্দ্রিক এলাকার মানুষ যা বর্ষা শুরু হতেই বৃষ্টির জলে ভয়ংকর হয়ে উঠে। এমনি কিছু নদীর মধ্যে একটি নদী হল মালদার মানিকচকের গঙ্গা নদী। বর্ষার শুরুতেই ভাঙনের ছোবল শুরু মালদার মানিকচকে। মানিকচকের ভূতনির হীরানন্দপুর অঞ্চলের কেশবপুরে গঙ্গায় মরশুমেরে প্রথম ভাঙন শুরু হয়েছে।গত কয়েকদিনের ভাঙনের ভয়াভয়বতা এতটাই যে কোন কোন জায়গায় বাধ ও গঙ্গার দূরত্ব মেরেকেটে ২৫-৩০ মিটার এসে দাড়িয়েছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।ভাঙ্গন হচ্ছে রাজকুমারটোলাতেও। এখানে নতুন করে ভাঙন হওয়ার জন্য নদী বাঁধের কাছে এসে পৌঁচেছে।এদিন ভাঙন কবলিত এলাকা কেসরপুর ও রাজকুমারটোলা পরিদর্শনে আসেন মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিন আলম।তার সাথে ছিলেন জেলার ভাঙন প্রতিরোধ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ এসিস্টেন্ট অপর্ণা ভকত।

         পরিদর্শনে এসে বিধায়ক জানান তিনি খরা মরশুমে কাজের জন্য বারবার দরবার করলেও এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু হয় নি। কাজ না হলে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে ভুতনী চর এলাকা। বিধায়কের দাবি কোন অঘটন ঘটলে তার জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার। রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন কাজের জন্য ৩৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করলেও এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি ।তাই দিন দিন আতঙ্ক বাড়ছে ভুতনীবাসীদের মধ্যে। তাদের দাবি অতি শীঘ্রই কাজ না হলে বাধ ভেঙে গঙ্গা গ্রাস করে ফেলতে পারে পুরো ভুতনী চর এলাকাগুলোকে।